বনভূমি মানুষের মৌলিক
সম্পদগুলোর মধ্যে অন্যতম। পৃথিবীর মৃত্তিকার উপরিভাগে স্বাভাবিকভাবে বিভিন্ন আকৃতির যে উদ্ভিজ্জ জন্মে থাকে
তাকে বনভূমি বলে। একটি অঞ্চল বা দেশের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় মোট ভূভাগের ২৫ ভাগ বনভূমি থাকা আবশ্যক। দেশের অর্থনৈতিক
উন্নয়ন তথা জাতীয় জীবনে বনভূমি বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।
বনভূমির শ্রেণীবিভাগ
বায়ুপ্রবাহ, বৃষ্টিপাত তথা জলবায়ু ও ভূপ্রকৃতির
তারতম্যের ওপর ভিত্তি করে পৃথিবীর বনভূমি বা অরণ্যকে নিম্নোক্ত দুই ভাগে বিভক্ত করা যায়। যথা,
বনভূমি →
১. ক্রান্তীয় বনভূমি
ক. ক্রান্তীয় চিরহরিৎ বনভূমি
i. নিরক্ষীয় চিরহরিৎ বনভূমি
ii.
মৌসুমি চিরহরিৎ
খ.
ক্রান্তীয় পর্ণমোচী বৃক্ষের বনভূমি
i.
মৌসুমি অঞ্চলের পর্ণমোচী বৃক্ষের বনভূমি
ii.
গ্রীষ্মপ্রধান নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলের পর্ণমোচী
বৃক্ষের বনভূমি
২. নাতিশীতোষ্ণ বনভূমি
ক. ভূমধ্যসাগরীয়
বনভূমি
খ. নাতিশীতোষ্ণ
মিশ্র বনভূমি
গ. সরলবর্গীয়
বৃক্ষের বনভূমি
পরিশেষে বলা
যায় যে, পৃথিবীতে বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের বনভূমি লক্ষ করা যায়। এসব বনভূমির
মধ্যে ক্রান্তীয় চিরহরিৎ বনভূমি অন্যতম। এ প্রকৃতির বনভূমি পৃথিবীর বেশিরভাগ অঞ্চল
জুড়ে বিস্তৃত। এ বনভূমির বৃক্ষগুলো সারা বছর প্রায় সবুজ পত্র পল্লবে আবৃত থাকে। মানুষের দৈনন্দিন চাহিদার এ প্রকৃতির
বনভূমির বৃক্ষগুলো বিশেষ ভূমিকা রাখে।
0 মন্তব্যসমূহ