সূর্যোদয়ের সময় ফজরের নামাজ | ফজরের সময় জাগ্রত হতে না পারলে কাযা নামাজ

 

সূর্যোদয়ের সময় ফজরের নামাজ | ফজরের সময় জাগ্রত হতে না পারলে কাযা নামাজ

সূর্যোদয়ের সময় ফজরের নামাজ আদায় করা নিষিদ্ধ

কোন ব্যক্তির যদি ফজর নামাজ এক রাকআত আদায় করার পর সূর্যোদয় হয় তবে তার নামাজ বাতিল হয়ে যাবে। এ নামাজের কাযা অবশ্যই আদায় করতে হবে। কারণ সূর্যোদয়ের সময় সর্বপ্রকার নামাজ আদায় করা নিষিদ্ধ। (আহসানুল ফাতাওয়া)

ফজরের নামাজকে আসরের নামাজের মত মনে করা যাবে না। কারণ সূর্যাস্তের সময় ঐ দিনের আসরের নামাজ জায়েয।

আরো পড়ুনঃ ফজরের নামাজ এর পূর্নাংগ গাইড

ফজরের সময়ে কোন নফল নামাজ আদায় করা মাকরূহ

সুবহে সাদেকের পর হতে সূর্যোদয় পর্যন্ত ফজরের দুই রাকআত সুন্নাত ও দুই রাকআত ফরয নামাজ ব্যতীত অন্য কোন নফল নামাজ আদায় করা মাকরূহ। (ফতোয়ায়ে আলমগীরী)

তবে কাযা নামাজ, জানাযার নামাজ, তিলাওয়াতে সিজদা, কুরআন তিলাওয়াত; দোয়া দরূদ, যিকির করা ইত্যাদি জায়েয আছে। এছাড়া কেউ যদি ফজরের দুই রাকআত সুন্নত আদায না করেই জামাআতের সাথে ফরয আদায় করে থাকে এবং সূর্যোদয়ের পর ছুট যাওয়া সুন্নত আদায় করতে পারবে না বলে আশংকা করে তাহলে তা আদায় করে নিতে পারবে। তবে সূর্যোদয়ের পর আদায় করাই উত্তম।

ফজরের সময় জাগ্রত হতে না পারলে করণীয়

ফযরের সময়ে জাগ্রত হতে না পারলে যখন ঘুম হতে জাগ্রত হবে এবং নামাজের কথা স্মরণ হবে তখন বিলম্ব না করে নামাজ আদায় করে নিবে। তবে জাগ্রত হবার পরও যদি ইচ্ছাকৃতভাবে বিছানা হতে না উঠে তাহলে এ নামাজ কাযা হবে। হযরত আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত আছে। তিনি বলেন, মহানবী (সঃ) ইরশাদ করেছেন, যদি কেউ কোন নামাজ আদায় করতে ভুলে যায় কিংবা নামাজ আদায় না করে ঘুমিয়ে পড়ে, তার প্রতিকার হল যখনই স্মরণ হবে তখনই তা আদায় করে নেয়া। অপর এক বর্ণনায় এ কথাগুলো অতিরিক্ত আছে যে, এ ছাড়া তার অন্য কোন প্রতিকার নেই । (বুখারী ও মুসলিম)

হযরত আবু কাতাদাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত আছে। তিনি বলেন, মহানবী (সঃ) ইরশাদ করেছেন, নিদ্রায় কোন ত্রুটি নেই, ত্রুটি হল জাগরণে। সুতরাং যখন তোমাদের কেউ কোন নামাজ আদায় করতে ভুলে যায় অথবা তা আদায় না করে ঘুমিয়ে পড়ে, তাহলে যখনই স্মরণ হবে তখনই নামাজ আদায় করে নিবে। কেননা আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ইরশাদ করেন, নামাজ কায়েম কর আমার স্মরণে। (মুসলিম)

ফজরের নামাজ কাযা হলে কিভাবে আদায় করবে

ফজরের ফরযসহ সুন্নত নামাজ কাযা হলে এবং সূর্য পশ্চিম আকাশে ঢলে পড়ার পূর্বেই যদি কাযা আদায় করা হয় তাহলে সুন্নাত সহ কাযা আদায় করবে। কিন্তু সূর্য পশ্চিম আকাশে ঢলে পড়ার পর কাযা আদায় করলে শুধু ফরযেরই কাযা আদায় করবে। (ফতোয়ায়ে দারুল উলুম)

তবে সূর্য পশ্চিম আকাশে ঢলে পড়লে সুন্নতের কাযা আদায় করতে হবে না বলে কাযা নামাজ আদায় করাতে বিলম্ব করা অত্যন্ত গোনাহ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ