যোহরের নামাজ কয় রাকাত
যোহরের নামাজ মোট ১২ রাকাত
- ৪ রাকাত সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ
- ৪ রাকাত ফরয
- ২ রাকাত সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ
- ২ রাকাত নফল
যোহরের চার রাকাত সুন্নত নামাজের নিয়ত
উচ্চারণঃ নাওয়াইতু
আন উছাল্লিয়া লিল্লাহি তায়ালা আরবাআ' রাকআতি ছালাতিজুরি ছুন্নাতু রাসূলিল্লাহি
তায়ালা মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা'বাতিশ্
শারীফাতি আল্লাহু আকবার।
বাংলা নিয়ত: আমি কেবলামুখী হইয়া আল্লাহর জন্য যোহরের চার রাকাত সুন্নাত নামাজ আদায়ের নিয়ত
করিতেছি, আল্লাহু আকবার।
আরো পড়ুনঃ ফজরের নামাজ এর পূর্নাংগ গাইড।
যোহরের চার রাকাত ফরয নামাজের নিয়ত
উচ্চারণঃ নাওয়াইতু
আন উছল্লিয়া লিল্লাহি তা'আলা আরবাআ' রাকআতি সলাতিজ্জুরি ফারদুল্লাহি
তা'আলা মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা'বাতিশ্
শারীফাতি আল্লাহু আক্রবার।
বাংলা নিয়ত: আমি কেবলামুখী হইয়া আল্লাহর জন্য যোহরের চার রাকয়া’ত ফরজ নামাজের (এই ইমামের পিছনে)
আদায় করিতেছি, আল্লাহু আকবার।
[জামাআতে ইমামের
পিছনে নামাজ আদায় করা হলে নিয়ত করার সময় ফারদুল্লাহি তায়ালা বলার পর বলতে
হবে ইকতাদাইতু বিহাযাল ইমাম তারপর বাকী
অংশ বলবে।]
যোহরের দুই রাকাত সুন্নত নামাজের নিয়ত
উচ্চারণঃ নাওয়াইতু
আন উছাল্লিয়া লিল্লাহি তা'আলা রাকয়াতাই সলাতিজুরি সুন্নাতু রাসূলিল্লাহি তা'আলা
মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা'বাতিশ্
শারীফাতি আল্লাহু আকবার।
বাংলা নিয়তঃ
আমি কেবলামুখী হইয়া আল্লাহর জন্য যোহরের দুই রাকাত সুন্নাত নামাজ আদায়ের নিয়ত
করিতেছি, আল্লাহু আকবার।
যোহরের দুই রাকাত নফল নামাজের নিয়ত
উচ্চারণঃ নাওয়াইতু
আন্ উছাল্লিয়া লিল্লাহি তায়ালা রাকয়াতাই সালাতিন্নাফলি, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা
জিহাতিল কা'বাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।
বাংলা নিয়তঃ
আমি কেবলামুখী হইয়া আল্লাহর জন্য দুই রাকাত নফল নামাজ আদায়ের জন্য নিয়ত করিলাম,
আল্লাহু আকবার।
যোহর নামাজের সময়
ঠিক দ্বিপ্রহরের পর সূর্য যখন সামান্য ঢলে পড়ে তখন যোহরের ওয়াক্ত শুরু হয় এবং প্রতিটি বস্তুর ছায়া তার দ্বিগুণ না হওয়া পর্যন্ত যোহর নামাজের ওয়াক্ত থাকে। কিন্তু ছায়া সমপরিমাণ হওয়ার পূর্বে নামাজ আদায় করা মুস্তাহাব। সকল জিনিসের ছায়াই ভোর বেলায় পশ্চিম দিকে থাকে এবং অনেক বড় থাকে। ধীরে ধীরে ছায়া ছোট হতে থাকে। এমনকি, ঠিক দ্বিগ্রহরের সময় ছায়া সর্বাপেক্ষা ছোট হওয়ার অল্পক্ষণ পরে পুনরায় পূর্বদিকে বৃদ্ধি পেতে থাকে । ঠিক দ্বিপ্রহরের সময় ছায়া সর্বাপেক্ষা ছোট হয়। এ সময় সবচেয়ে ছোট যে ছায়াটুকু থাকে তাকে 'ছায়া আছলী' বলে। 'ছায়া আছলী’ যখন বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, তখন যোহর নামাজের ওয়াক্ত শুরু হয়। 'ছায়া আছলী’ বাদে যখন ঐ জিনিসের সমপরিমাণ হয় তখন পর্যন্ত যোহর নামাজ আদায় করা মুস্তাহাব। 'ছায়া আছলী’ বাদে ছায়া দ্বিগুণ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত যোহর নামাজের ওয়াক্ত থাকে। এ ছায়া যখন দ্বিগুণ হয় তখন আর ওয়াক্ত থাকে না। আছর নামাজের ওয়াক্ত এসে যায়।
0 মন্তব্যসমূহ