অনুপাত বিশ্লেষণের অসুবিধা বা সীমাবদ্ধতা সমূহ
প্রতিষ্ঠানের
আর্থিক অবস্থা, লাভজনকতা, কার্যক্রম মূল্যায়ন ও ব্যাখ্যার জন্য অনুপাত বিশ্লেষণ যদিও গুরুত্বপূর্ণ
হাতিয়ার হিসাবে কাজ করে, তবুও অনুপাত বিশ্লেষণের বহুবিধ
সীমাবদ্ধতা রয়েছে। নিয়ে এদের বর্ণনা করা হলো।
১. যথাযথ মানের
অভাব : অনুপাত বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে এমন কোনো নির্দিষ্ট মানের একক নেই যার মাধ্যমে প্রকৃত অনুপাত
পরিমাপ করা যায়।
২. প্রকৃত সমস্যার
সমাধান সম্ভব নয় : আর্থিক বিবরণীর বিশ্লেষণ ও ব্যাখ্যা করতে হিসাবসংক্রন্ত অনুপাতগুলো সাহায্য
করে ঠিকই, কিন্তু এগুলোর মাধ্যমে প্রকৃত সমস্যার
সমাধান সম্ভব হয় না।
৩. তুলনামূলক
জটিলতা : অনুপাত বিশ্লেষণের নির্ধারিত মান অনুপাতের সাথে প্রকৃত অনুপাতের তুলনা করা যায়।
এইরূপ নির্ধারিত মান অনুপাত নির্ণয় করা খুবই কঠিন
ব্যাপার।
৪. স্বল্প সময়ের
অনুপাত ত্রুটিপূর্ণ : স্বল্প সময়ের জন্য অনুপাত বিশ্লেষণ করা হলে তাতে কোনো
কার্যকর ফলাফল পাওয়া যায় না।
৫. আন্তঃপ্রতিষ্ঠানের
তুলনায় সমস্যা : সকল প্রতিষ্ঠানের অবস্থা, আকৃতি, পরিচালনার নীতি একরূপ নয়। সুতরাং অনুপাতের
সাহায্যে আন্তঃপ্রতিষ্ঠানের তুলনায় অনেক অসুবিধা দেখা
দেয়।
৬. মূল্যস্তর
পরিবর্তন : মূল্যস্তর পরিবর্তনের জন্য অনুপাত বিশ্লেষণ দারুণভাবে বিঘ্নিত হয়। ফলে
অনুপাত বিশ্লেষণের গুরুত্ব হ্রাস পায়।
৭. ভবিষ্যৎ নির্দেশনা
দিতে পারে না : অনুপাত বিশ্লেষণ ভবিষ্যৎ নির্দেশনা দিতে পারে না। কারণ অনুপাতের সাহায্যে
পরিকল্পনা প্রণয়ন, নীতি নির্ধারণ, সিদ্ধান্ত গ্রহণ
ইত্যাদি করা সম্ভবপর নয়।
পরিশেষে আমরা
বলতে পারি যে, উপরিউক্ত সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বে অনুপাত বিশ্লেষণ আধুনিক দক্ষ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে
এক বলিষ্ঠ হাতিয়ার হিসেবে সমাদৃত।
0 মন্তব্যসমূহ