বায়ুমন্ডল কি
যে গ্যাসীয়
আবরণ পৃথিবীকে বেষ্টন করে আছে তাকে বায়ুমন্ডল বলে। পৃথিবীর মধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাবে বায়ুমন্ডল ভূ-পৃষ্ঠের চার
দিকে নিয়মিত আবর্তন করছে। ভূপৃষ্ঠ হতে ঊর্ধ্বে ক্রমশ তা হালকা হতে থাকে। ভূপৃষ্ঠ
থেকে দশ হাজার কিলোমিটার ওপরে এ বায়ুমন্ডল বিস্তৃত।
তবে বায়ুমন্ডলগুলোর শতকরা ৯৭ ভাগ উপাদান ত্রিশ কিলোমিটারের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে।
অন্যভাবে বলতে
গেলে, পৃথিবীর পৃষ্ঠ থেকে ওপরের দিকে যে বাতাসের আবরণ বেষ্টন করে আছে তাই বায়ুমন্ডল। এ বায়ুমন্ডল কয়েকটি স্তরে
বিস্তৃত যা কতকগুলো উপাদানের সমন্বয়ে গঠিত। বায়ুমন্ডলের উপাদানগুলোর অনুপাত সমান নয়। ঋতু ও অঞ্চলভেদে কমবেশি তারতম্য হয়ে থাকে।
বায়ুমন্ডল কাকে বলে
সাধারণত পৃথিবীতে
যে বাতাসের আবরণ ঘিরে আছে তাকে বায়ুমন্ডল বলে। অর্থাৎ পৃথিবীকে বেষ্টনকারী গ্যাসীয় আবরণকে বায়ুমন্ডল বলে। এ
বায়ুমন্ডল কতকগুলো উপাদান দ্বারা গঠিত। যেমন— নাইট্রোজেন, অক্সিজেন, কার্বন
ডাইঅক্সাইড, নিয়ন, হিলিয়াম, আর্গন, জলীয় বাষ্প,
ধূলিকণা প্রভৃতি। এ উপাদানগুলোর মধ্যে নাইট্রোজেন ৭৮.০২%, অক্সিজেন ২০.৭০%, কার্বন ডাইঅক্সাইড বিদ্যমান। তাই বলা যায়,
বায়ুমন্ডলের প্রায় ৯৯.৯৮% দখল করে আছে। নাইট্রোজেন,
অক্সিজেন, আর্গন, কার্বন-অক্সাইড প্রভৃতি উপাদান দ্বারা। অন্যান্য উপাদানের সমন্বয়ে
বাকি ০.০২% গঠিত। এসব উপাদানগুলো ভূপৃষ্ঠ হতে
চতুর্দিকে সুমিশ্রিত অবস্থায় অবস্থিত। কাজেই বলা যায়, ভূপৃষ্ঠ হতে ঊর্ধ্বে যে গ্যাসীয়
আবরণ পৃথিবীকে বেষ্টন করে আছে তাকে বায়ুমন্ডল বলে।
অধ্যাপক রফিক আহমেদ তার জলবায়ু বিজ্ঞানে বলেন, “পৃথিবীকে
বেষ্টন করে যে বায়বীয় পদার্থের আবরণ হয়েছে তাকে বায়ুমন্ডল বলে।”
পৃথিবীর আবর্তনের জন্য বায়ুমন্ডলে ভূপৃষ্ঠের সাথে সমানভাবে
চলতে পারে না বলে ছিটকে যাওয়ার প্রবণতা লাভ
করলেও তা মধ্যাকর্ষণ শক্তির জন্য পৃথিবীর গায়ে ভারসাম্যভাবে অবস্থান করছে। ভূপৃষ্ঠ
হতে ৩০ কি. মি. এর মধ্যে বায়ুমন্ডলের ৯৭% পদার্থ
অবস্থিত।
0 মন্তব্যসমূহ