পৃথিবীর মোট
আয়তনের দুই-তৃতীয়াংশ ভাগই পানি। এ জলরাশি পৃথিবীর সমগ্র পরিবেশের ওপর ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে। পৃথিবীপৃষ্ঠের
উন্মুক্ত বিস্তীর্ণ জলরাশিকে সমুদ্র বলে। এ সামুদ্রিক অঞ্চলের পরিবেশ, জলবায়ু ও
ভৌগোলিক অবস্থা সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে আলোচনা
ও বিশ্লেষণ করাই হলো সমুদ্রবিজ্ঞান। সমুদ্রবিজ্ঞান হলো মূলত একটি ফলিত ব্যবহারিক বিজ্ঞান।
সমুদ্রবিজ্ঞান কি
সমুদ্র সম্পর্কিত
জ্ঞান সম্পর্কে যে বিষয়ে আলোচনা করা হয় তাকে সমুদ্রবিজ্ঞান বলে। সুপ্রাচীনকাল থেকেই সমুদ্র সম্পর্কে মানুষের আগ্রহ
ছিল অত্যধিক। ফলে মানুষ ক্রমান্বয়ে সমুদ্র সম্পর্কে বহু তথ্য আবিষ্কার করছে।
সমুদ্রের প্রাকৃতিক ও জৈবিক পরিবেশের বিশ্লেষণ এবং
বিন্যাসগত সম্পর্কে আলোচনা করাই হলো সমুদ্রবিজ্ঞান।
সমুদ্রবিজ্ঞান কাকে বলে
Proudman এর মতে, “সামুদ্রিক পানির প্রাকৃতিক ও জৈবিক গুণাবলির সম্পর্ক বিশিষ্ট তাপীয় গতির মৌলিক নীতিমালা সম্পর্কে সমীক্ষা করাই সমুদ্রবিজ্ঞান।”A. A.
Marmer এর মতে, “সমুদ্রবিজ্ঞান মূলত সামুদ্রিক অববাহিকার পানির বৈশিষ্ট্য ও চলাচল নিয়ে
আলোচনা করে।”
Fair Bridge
এর মতে, “সমুদ্রবিজ্ঞান হলো সমুদ্রের বিভিন্ন প্রপঞ্জের সাথে বায়ুমণ্ডলের পারস্পরিক
সম্পর্কের বিজ্ঞানভিত্তিক আলোচনা।”
Freeman এর মতে,
“পৃথিবীর গতিশীল বারিমণ্ডল, সামুদ্রিক পানির ভৌত বৈশিষ্ট্য। জোয়ারভাটা, স্রোত, সমুদ্র
উপকূল ও তলদেশের বাহ্যিক গঠন ও সামুদ্রিক জীবজগতের বৃত্তান্ত ও তাদের আঞ্চলিক বিন্যাস
সম্পর্কিত আলোচনাই হলো সমুদ্রবিজ্ঞান।"
সামুদ্রিক বিষয়
সম্পর্কিত আলোচনাই হচ্ছে সমুদ্রবিজ্ঞান। সামুদ্রিক ভূপ্রকৃতি বাস্তুতন্ত্র, সামুদ্রিক সম্পদ এবং
মানুষের সাথে সামুদ্রিক পরিবেশের সম্পর্ক নিয়ে যে বিশদ আলোচনা ও ব্যাখ্যা করে তাই
সমুদ্রবিজ্ঞান । ভূগোল বিজ্ঞানের একটি প্রকৃত শাখা
হলো সমুদ্রবিজ্ঞান যা একটি ফলিত ব্যবহারিক বিজ্ঞান।
0 মন্তব্যসমূহ