কালান্তিক মজুদ পদ্ধতি কি
কালান্তিক মজুদ পদ্ধতিতে প্রতিদিনের মজুদ প্রতিদিন মূল্যায়ন না করে পণের আগমন নির্গমন-এর উপর ভিত্তি করে বছর শেষে বা হিসাবকাল শেষে অবিক্রান্ত পণ্য গুণে, মেপে বা ওজোন করে মজুদ তালিকা প্রস্তুত করা হয়। তুলনামূলক কম দামের এবং বেশি চাহিদাসম্পন্ন পণ্যের ক্ষেত্রে এ পদ্ধতি অনেক বেশি উপযোগী।নিম্নে কালান্তিক মজুত পদ্ধতির কিছু প্রামাণ্য সংজ্ঞা
প্রদান করা হলে
Pyle এবং Lerson-এর মতে, “কালান্তিক মজুদ পদ্ধতি হলো এমন এক মজুত গণনা পদ্ধতি যাতে
প্রত্যেক হিসাবকাল শেষে প্রত্যেক প্রকার পণ্যের
পরিমাপের সাথে ঐ পণ্যের ব্যয় করে বিভিন্ন দ্রব্যের
অবিক্রীত পণ্যের মূল্যায়ন করা হয়।"
B. Banerjee-এর মতে, "Periodic inventory
system refers to a system where stock-taking is usually done periodically say
once or twice in a year."
Weygandt Kikso এবং Kimmel-এর মতে, "In a periodic inventory system no
attempt is made to keep detailed
inventory records of the goods on hand throughout the period. The cost of goods sold is determined only
at the end of the accounting period when
a physical inventory count is taken to
determine the cost of goods in hand."
প্রারম্ভিক মজুতের সাথে ক্রয় যোগ করে মোট প্রাপ্ত
পণ্য হতে বিক্রীত পণ্য বিয়োগ দিয়ে সমাপনী
মজুত মূল্যায়ন করা হয়। এতে পণ্যের স্বাভাবিক
ক্ষতি, ঘাটতি, বিনষ্ট পণ্য ইত্যাদি তেমন কোনো
হিসাব রাখা হয় না। সুতরাং বলা যায়, কোনো নির্দিষ্ট
সময় শেষে বা হিসাবকাল শেষে শুদামে রক্ষিত মজুত
গণনা, ওজন বা মেপে হিসাবভুক্ত ও মূল্যায়ন করাকে
কালান্তিক মজুদ পদ্ধতি বলে।
0 মন্তব্যসমূহ