সমন্বয় দাখিলার প্রয়োজন কেন
যেকোনো প্রতিষ্ঠানের রেওয়ামিল করার পর চূড়ান্ত হিসাব প্রস্তুত করার পূর্বে সমন্বয় দাখিলার মাধ্যমে হিসাবের ভুলত্রুটি সংশোধন করে নির্ভুল হিসাবরক্ষণে সহায়তা করে। নিচে এর গুরুত্ব আলোচনা করা হলো।১. অলিখিত লেনদেন লিপিবদ্ধকরণ : কারবার প্রতিষ্ঠানের অনেক অলিখিত লেনদেন আছে যা সমন্বয়
জাবেদার মাধ্যমে সংশোধন করে হিসাবরক্ষণ কার্যকে
সহজ নির্ভুল ও গতিশীল করতে সহায়তা করে।
২. ব্যবহৃত ও অব্যবহৃত দ্রব্যের সমন্বয় : অনেক দ্রব্যসামগ্রী আছে যা কারবারের বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত
হয় বা কিছু দ্রব্য উদ্বৃত্ত থেকে যায় সমন্বয়
জাবেদার মাধ্যমে এগুলো সমন্বয় করে সঠিক হিসাবরক্ষণে
সহায়তা করে।
৩. সময় আবর্তনজনিত খরচ : সমন্বয় অনেক খরচ আছে যা সময় অতিবাহিত হওয়ার সাথে জড়িত
তা সমন্বয় জাবেদার মাধ্যমে সংশোধন করা হয়।
যেমন- স্থায়ী সম্পত্তির অবচয়।
৪. হিসাবকাল নির্ধারণ : একটি কারবার প্রতিষ্ঠানের আয়ুষ্কাল দীর্ঘ সময় হলেও কারবারের
আর্থিক অবস্থার প্রকৃত অবস্থা জানার জন্য হিসাবরক্ষণ
করতে হয়। তাই এর জন্য একটি হিসাবকাল নির্ধারণ
করতে হয়। এ হিসাবকাল এক মাস, তিন মাস, ছয়
মাস বা এক বছর সময়কাল হতে পারে।
৫. বকেয়া অগ্রিম সমন্বয় : একটি কারবার প্রতিষ্ঠানে
বহু ধরনের লেনদেন সংঘটিত হয়। এর মধ্যে
বকেয়া খরচ, বকেয়া আয়, অগ্রিম খরচ, অগ্রিম
প্রাপ্ত আয় ইত্যাদি সমন্বয় জাবেদার মাধ্যমে
সংশোধন করে হিসাবরক্ষণ কাজকে নির্মূল করতে সহায়তা
করে।
৬. আয়-ব্যয়ের সঠিক মিলকরণ : হিসাবকাল নির্ধারণ করে। শুধুমাত্র চলতি হিসাবকালের হিসাব সমন্বয়
করে হিসাবের চলতি সালের আয় ব্যয়ের সঠিক মিলকরণ
করে থাকে।
৭. সঠিক আর্থিক ফলাফল নির্ণয় : সমন্বয় জাবেদা করে হিসাবের গাণিতিক শুদ্ধতা শতভাগ নিশ্চিত
করা হয় বলে সঠিক আর্থিক ফলাফল নির্ণয় করা
সম্ভব হয়।
0 মন্তব্যসমূহ