একটি কাল্পনিক চাহিদাসূচি হতে চাহিদারেখা অঙ্কন কর

 

একটি কাল্পনিক চাহিদাসূচি হতে চাহিদারেখা অঙ্কন কর

একটি কাল্পনিক চাহিদাসূচি থেকে চাহিদারেখা অঙ্কন

চাহিদাবিধিকে সূচি ও রেখার দ্বারা ব্যাখ্যা করা সম্ভব। দাম ও চাহিদার পরিমাণের মধ্যে সম্পর্ক একটি ছকের মাধ্যমে প্রকাশ করাকে চাহিদাসূচি বলে। আর চাহিদাসূচি চিত্রে রূপ দিলেই চাহিদারেখা পাওয়া যায়। চাহিদারেখা হচ্ছে কতকগুলো বিন্দুর সমন্বয়ে গঠিত এমন একটি রেখা, যে বিন্দুতে বিভিন্ন দামে একটি দ্রব্যের বিভিন্ন পরিমাণ প্রকাশিত হয়। নিম্নে একমাত্রার সমীকরণ হতে ব্যক্তিগত চাহিদাসূচি এবং তা থেকে একটি চাহিদারেখা অঙ্কন করা হল।

চাহিদাসূচি

একক প্রতি দাম (টাকায়)           চাহিদার পরিমাণ (এককে)

৪ টাকা                                                 ২৪ একক

৬ টাকা                                                 ২০ একক

৮ টাকা                                                 ১৬ একক

১০ টাকা                                               ১২ একক

উপরের চাহিদাসূচি অনুযায়ী যখন কোন দ্রব্যের একক প্রতি দাম ৪ টাকা তখন চাহিদার পরিমাণ ২৪ একক। দাম বৃদ্ধি পেয়ে একক প্রতি যথাক্রমে ৬ টাকা, ৮ টাকা, ১০ টাকা হলে চাহিদার পরিমাণও কমে যথাক্রমে ২০ একক, ১৬ একক ও ১২ একক হয়। অর্থাৎ, দামের ক্রমাগত বৃদ্ধি চাহিদার পরিমাণ ক্রমাগত হ্রাস করে। বিপরীতভাবে বলা যায়, দাম ক্রমশ
হ্রাস পেলে চাহিদা ক্রমশ বৃদ্ধি পায়।

চাহিদাসূচি হতে একটি চাহিদারেখা

উপরের চাহিদাসূচি হতে একটি চাহিদারেখা অঙ্কন করা হল

চিত্রে, OP অক্ষে দাম ও OQ অক্ষে চাহিদার পরিমাণ নির্দেশিত হয়েছে। দ্রব্যের একক প্রতি দাম যখন ৪ টাকা তখন চাহিদার পরিমাণ ২৪ একক। ৪ টাকা ও ২৪ একক দ্রব্যের সম্পর্কসূচক বিন্দু M। অনুরূপভাবে, ৬ টাকা, ৮ টাকা, ১০ টাকা দামে চাহিদার পরিমাণ যথাক্রমে ২০ একক, ১৬ একক ও ১২ একক; যাদের সম্পর্কসূচক বিন্দু যথাক্রমে N, O এবং P। এখন M, N, O, P বিন্দুগুলো যোগ করলে DD' রেখা পাওয়া যায়। এ DD' রেখাই চাহিদারেখা। এটি ডানদিকে নিম্নগামী। আর এভাবেই একটি কাল্পনিক চাহিদাসূচি হতে চাহিদারেখা অঙ্কন করা যায়৷

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ