দ্রব্যের দাম ও চাহিদার মধ্যে বিপরীতমুখী সম্পর্ক বিদ্যমান।
অর্থাৎ, দাম বাড়লে চাহিদা কমে এবং দাম
কমলে চাহিদা বাড়ে। দাম ও চাহিদার মধ্যে বিপরীতমুখী সম্পর্ক চাহিদাবিধির মাধ্যমে প্রকাশিত
হয়।
চাহিদাবিধি কি
অন্যান্য অবস্থা
অপরিবর্তিত থেকে কোন দ্রব্যের দাম বাড়লে চাহিদা কমে, আবার দাম কমলে চাহিদা বাড়ে। দাম ও চাহিদার মধ্যকার
বিপরীতমুখী সম্পর্ককে চাহিদাবিধি বলে। চাহিদাবিধিতে দামকে পরিবর্তনশীল
এবং অন্যান্য অবস্থাকে স্থির ধরা হয়। এখানে অন্যান্য
অবস্থা বলতে ভোক্তার আয়, রুচি, অভ্যাস ও অন্যান্য দ্রব্যের দাম ইত্যাদিকে বুঝায় । চাহিদাবিধিকে সমীকরণের আকারে প্রকাশ করলে
চাহিদা অপেক্ষক পাওয়া যায়।
অর্থাৎ, Dx
= f(Px)
এখানে Dx = X দ্রব্যের চাহিদার পরিমাণ। এবং
Px = X দ্রব্যের দাম।
চাহিদাবিধি
অনুযায়ী x দ্রব্যের চাহিদার পরিমাণ (Dx), X দ্রব্যের দাম (Px) এর অপেক্ষক। এখানে,
Dx নির্ভরশীল চলক এবং Px স্বাধীন চলক। অর্থাৎ, Dx এর মান Px এর উপর নির্ভরশীল। Px এর
মানের পরিবর্তন হলে Dx এর মানেরও পরিবর্তন
হবে।
অন্যান্য অবস্থা অর্থাৎ, ভোক্তার আয়, রুচি, পরিপূরক ও পরিবর্তক দ্রব্যের দাম ইত্যাদি বিষয় চাহিদা অপেক্ষকে অন্তর্ভুক্ত করলে তা নিম্নরূপ হবে। যথা,
Dx = f(Px, Ps, Pc, Y, T, E, N)
এখানে, Dx = X দ্রব্যের চাহিদার পরিমাণ,
Ps = পরিবর্তক দ্রব্যের দাম,
Y = ভোক্তার আয়,
E = দামের ভবিষ্যৎ পরিবর্তন সম্পর্কে অনুমান,
Px = X দ্রব্যের দাম,
Pc = পরিপূরক দ্রব্যের দাম,
T = ভোক্তার রুচি,
N = ভোক্তার সংখ্যা ও
f =
অপেক্ষক।
চাহিদাবিধিকে রেখাচিত্রের সাহায্যে প্রকাশ
চাহিদাবিধিকে চিত্রের মাধ্যমে প্রকাশ করলে ডানদিকে নিম্নগামী চাহিদারেখা পাওয়া যায়। পাশের চিত্রে OP অক্ষে দ্রব্যের দায় ও OQ অক্ষে দ্রব্যের পরিমাণ দেখানো হয়েছে। দ্রব্যের দাম যখন OP1, তখন চাহিদার পরিমাণ OQ3; যা C বিন্দু দ্বারা নির্দেশিত। দাম বৃদ্ধি পেয়ে যথাক্রমে OP2 ও OP3; হলে চাহিদার পরিমাণ কমে যথাক্রমে OQ2, ও OQ1 হয়, যা যথাক্রমে B ও A বিন্দু দ্বারা নির্দেশিত। দাম ও চাহিদার মধ্যে সম্পর্ক সূচক বিন্দু A, B, C যোগ করলে DD' চাহিদারেখা পাওয়া যায়। এটি দাম ও চাহিদার মধ্যে বিপরীত সম্পর্ক প্রকাশ করে।
0 মন্তব্যসমূহ