চাহিদা কি

 

চাহিদা কি

অভাববোধই ব্যক্তির চাহিদার সৃষ্টি করে। দ্রব্যসামগ্রী দুষ্প্রাপ্য হওয়ায় এসব দ্রব্যসামগ্রী পেতে হলে ব্যক্তিকে তার মূল্য প্রদান করতে হয়। অর্থ ব্যয় করে দ্রব্যটি ক্রয়ের ইচ্ছা এবং ক্রয়ের সামর্থ্য থাকলেই ব্যক্তির অভাববোধ চাহিদায় রূপ নেয়। সুতরাং, কোন নির্দিষ্ট সময়ে, নির্দিষ্ট দামে কোন দ্রব্য বা সেবা ক্রয়ের আর্থিক সামর্থ্য ও অর্থ ব্যয়ের ইচ্ছা ব্যক্তির আকাঙ্ক্ষাকে চাহিদায় পরিণত করে।

চাহিদা কি

ক্রেতা কর্তৃক নির্দিষ্ট সময়ে, নির্দিষ্ট দামে দ্রব্য ও সেবা ক্রয়ের আকাঙ্ক্ষাকে চাহিদা বলে। অর্থনীতিতে চাহিদা কথাটি কার্যকর অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। যেমন- কোন ভিক্ষুক ঘোড়ায় চড়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলে তার ইচ্ছাকে চাহিদা বলা যায় না। কারণ, তার ঘোড়ার গাড়ি ক্রয়ের সামর্থ্য নেই। আবার একজন কৃপণ রসগোল্লা খেতে চায়। এখানে তার ভোগ করার ইচ্ছা ও সামর্থ্য আছে; কিন্তু অর্থ ব্যয় করে দ্রব্যটি ক্রয়ের মানসিকতা নেই। তাই কৃপণের চাহিদা সৃষ্টি হবে না। অতএব, চাহিদা সৃষ্টি হওয়ার জন্য প্রয়োজন-

  • ক. দ্রব্য পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা,
  • খ. দ্রব্য ক্রয়ের আর্থিক ক্ষমতা এবং
  • গ. অর্থ ব্যয় করার ইচ্ছা।
বিভিন্ন অর্থনীতিবিদগণ চাহিদার বিভিন্ন রকম সংজ্ঞা প্রদান করেছেন। নিম্নে কতিপয় সংজ্ঞা তুলে ধরা হল,
অর্থনীতিবিদ বেনহাম এর মতে, “কোন নির্দিষ্ট সময়ে একটি বিশেষ দামে কোন দ্রব্যের যে পরিমাণ ক্রয় করা যায়, তাকে ঐ দ্রব্যের চাহিদা বলে।

অধ্যাপক পেনসন চাহিদার সংজ্ঞা দেন এভাবে, “কোন দ্রব্য পাওয়ার আকাঙ্ক্ষার পশ্চাতে প্রয়োজনীয় অর্থ এবং ঐ অর্থ ব্যয় করার প্রবল ইচ্ছা থাকলেই তা অর্থনীতিতে চাহিদা বলে গণ্য হবে।

সুতরাং উপরিউক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায় যে, কোন দ্রব্য বা সেবা ক্রয়ের সামর্থ্য ও অর্থ ব্যয়ের ইচ্ছা দ্বারা সমর্থিত আকাঙ্ক্ষাই চাহিদা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ