উপাদানের মূল্য প্রদত্ত অবস্থায় উৎপাদক ক্রমাগত বেশি
পরিমাণ উপাদান নিয়োগ করলে তার ভারসাম্য বিভিন্ন বিন্দুতে নির্ধারিত হয়। একটি ফার্ম তখনই ভারসাম্যে
পৌঁছায় যখন প্রান্তিক কারিগরি পরিবর্তনের হার উপাদানসমূহের প্রান্তিক উৎপাদনের অনুপাত এবং উপাদানের দামের
অনুপাত পরস্পর সমান হয়। এ অবস্থা সাধারণত তখনই ঘটবে যখন কোন বিন্দুতে সমব্যয় রেখা এবং সম উৎপাদন রেখা স্পর্শক হবে। এ
স্পর্শক বিন্দুর সমন্বয়ে পাওয়া যায়
উৎপাদন সম্প্রসারণ পথ।
উৎপাদন সম্প্রসারণ পথ (Expansion path of production)
উপাদানের (Production) মূল্য প্রদত্ত অবস্থায় উৎপাদক ক্রমাগত বেশি উপাদান নিয়োগ করলে তার ভারসাম্য বিভিন্ন বিন্দুতে নির্ধারিত হয়। এসব বিন্দু যোগ করলে যে রেখা পাওয়া যায় তাকে উৎপাদন সম্প্রসারণ পথ বলে। অন্যভাবে বলা যায়, উপাদানের মূল্য স্থির অবস্থায় এদের অনুপাত পরিবর্তন করলে ভারসাম্য উৎপাদনের যেসব বিন্দু পাওয়া যায় তার সঞ্চার পথ হল উৎপাদন সম্প্রসারণ পথ। সাধারণত উৎপাদন সর্বোচ্চ এবং ব্যয় সর্বনিম্ন হয়। এসব বিন্দুতে ভারসাম্যের যে প্রয়োজনীয় শর্ত পরিলক্ষিত হয় তা নিম্নরূপ।
এ অব্যক্ত সমীকরণ উৎপাদন সম্প্রসারণ পথনির্দেশ করে। উৎপাদন সম্প্রসারণ পথ চিত্রের সাহায্যে দেখানো হল।
চিত্রে, ভূমি অক্ষে শ্রম (L) এবং লম্ব অক্ষে মূলঋণ
K নির্দেশ করা হয়েছে। Q1, Q2 ও Q3 তিনটি সম উৎপাদন রেখা। AB রেখা দ্বারা Q1 উৎপাদনের জন্য যে সর্বনিম্ন খরচ প্রয়োজন
তা প্রকাশ পায়। সুতরাং, R একটি ভারসাম্য বিন্দু। অনুরূপভাবে, CD রেখা দ্বারা Q2 পরিমাণ উৎপাদনের জন্য সর্বনিম্ন
ব্যয় প্রকাশ পায়। এক্ষেত্রে ভারসাম্য বিন্দু হচ্ছে S আবার EF রেখা দ্বারা Q3 পরিমাণ উৎপাদনের জন্য সর্বনিম্ন ব্যয়
নির্ধারণ করা হয়। এখানে ভারসাম্য নির্ধারিত হয়েছে T বিন্দুতে। অন্যদিকে, উৎপাদক যখন শ্রম ও মূলধন মোটেই ব্যবহার
করে না তখন তার ব্যয় এবং উৎপাদন শূন্য। এখন O, R, S, T বিন্দু যোগ করে যে EP রেখা পাওয়া যায় সেটিই হচ্ছে
উৎপাদন সম্প্রসারণ পথ। উৎপাদনের মাত্রা ক্রমান্বয়ে বাড়ানো হতে থাকলে প্রতিবার উচ্চতর সমব্যয় রেখা ও সম উৎপাদন
রেখা দু'টির স্পর্শবিন্দু অনুযায়ী তার দ্বারা নিযুক্ত উপাদানগুলোর কাম্য সংমিশ্রণসমূহ এ সম্প্রসারণ পথের দ্বারা
দেখানো হয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ