শারীরবিদ্যা কি এবং কাকে বলে
দুটি গ্রীক শব্দ Physis = প্রকৃতি এবং logos = জ্ঞান,
এর সমন্বয়ে 'Physiology' শব্দটির উৎপত্তি ঘটেছে। ১৫৫২ সালে ফরাসি চিকিৎসাবিদ Jean Fernal ল্যাটিন শব্দ
"Physiologia". অবতারণা করেন। "Physiologia" থেকে ইংরেজি
Physiology শব্দের সৃষ্টি। ইংরেজ চিকিৎসক William
Harvey-এর মানব দেহে রক্ত সঞ্চালন সম্পর্কে পাণ্ডিত্যপূর্ণ গবেষণালব্ধ ফলাফল প্রকাশের পর থেকে Physiology বা শারীরবিদ্যার
আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। শারীরবিদ্যা জীবদেহের
নানাবিধ শারীরবৃত্তীয় কার্যাদি সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান দিয়ে থাকে। অতএব যে বিদ্যা জীব
দেহের বিভিন্ন জৈব রাসায়নিক কর্মকাণ্ডের
প্রকৃতি ও কাজের প্রক্রিয়া সম্পর্কে জ্ঞান লাভের সহায়তা করে তাকে Physiology বা
শারীরবিদ্যা বলে।
শারীরবিজ্ঞানের গুরুত্ব (Importance of physiology)
শারীরবিজ্ঞান জীববিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা যা মানব শরীরের বিভিন্ন জৈবিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে ধারণা হয়। তাই এ বিদ্যা পাঠের নানামুখী গুরুত্ব রয়েছে, যেমন –১. চিকিৎসা শাস্ত্রের প্রথম সোপান অতিক্রম করতে হয়
শারীরবিজ্ঞান অধ্যয়নের মাধ্যমে। কেননা অ্যানাটমি ও বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সম্পর্কে জানতে হলে শারীরবিজ্ঞান জানা প্রয়োজন।
সমগ্র দেহে রোগের কারণে যেসব পরিবর্তন ধরা পড়ে তা শারীরবৃত্তীয় কার্যেরই ফল মনে করা হয়।
২. প্রাণীর অভ্যন্তরীণ পরিবেশের স্থিতাবস্থা
(Homeostasis) বজায় থাকা সুস্থ ও মুক্ত জীবনের জন্য অপরিহার্য। শারীরবিজ্ঞান অধ্যয়নে প্রাণীদের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে
ভিন্ন ভিন্ন কার্যাবলিসহ সমন্বিত কার্যাবলি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।
শারীরবিজ্ঞানের জ্ঞানের দ্বারা বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার
সাথে সম্পর্ক নির্ণয় করা যায়। প্রাণীদেহের
বিভিন্ন আন্তঃক্ষরা ও বহিঃক্ষরা গ্রন্থির নিঃসরণ, নিঃসৃত উপাদানের গঠন, কাজ ইত্যাদি
সম্পর্কে বিশেষ ধারণা পাওয়া যায়।
0 মন্তব্যসমূহ