বাজারজাতকরণ পরিবেশ অধ্যয়নের গুরুত্বপূর্ণ কেন

  

বাজারজাতকরণ পরিবেশ অধ্যয়নের গুরুত্বপূর্ণ কেন

বাজারজাতকরণ পরিবেশ অধ্যয়নের গুরুত্ব

বর্তমান এই ডিজিটাল প্রতিযোগিতামূলক বাজারে একজন বাজারজাতকারী তার পণ্য বা সেবাকে বাজারে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে প্রতিষ্ঠানকে অবশ্যই বাজারজাতকরণ পরিবেশ বিশ্লেষণ করতে হয় এবং পরিবেশের পরিবর্তনজনিত কোন কারণ ঘটলে তা সুষ্ঠু ও দক্ষভাবে মোকাবিলা করতে হয়। তাই বাজারজাতকরণ পরিবেশ সম্পর্কে একজন উৎপাদনকারী বা বাজারজাতকারীর জ্ঞান থাকা অত্যাবশ্যক। নিম্নে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে বাজারজাতকরণ পরিবেশ অধ্যয়নের গুরুত্ব আলোচনা করা হলো।

১. সঠিক কৌশল গ্রহণ (To take appropriate strategy)

বাজারজাতকারীকে সঠিকভাবে তার কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য কিছু কৌশল গ্রহণ করতে হয়। যদি বাজারজাতকরণ পরিবেশ অধ্যয়ন করা হয়, তবে সঠিক কৌশল গ্রহণ করা যায়।

২. কার্যক্রম পরিচালনা (To operate activities)

একজন বাজারজাতকারীকে তার কার্যক্রম যথাযথ পালন করতে হলে পরিবেশের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ উপাদানগুলো সম্বন্ধে অবশ্যই সজাগ থাকতে হবে।

৩. প্রতিযোগী মোকাবিলা (To face competition)

প্রত্যেক বাজারজাতকারীকে কম-বেশি প্রতিযোগী মোকাবিলা করতে হয় এবং প্রতিযোগী বিশ্লেষণ ও আলোচনা ব্যষ্টিক পরিবেশের অংশ। তাই বাজারজাতকরণ পরিবেশ সম্পর্কে জ্ঞান থাকা আবশ্যক।

৪. কাঁচামাল ক্রয় (Raw material purchase)

পৃথিবীর কোন দেশ হতে কাঁচামাল ক্রয় করা যেতে পারে প্রতিষ্ঠান এর উৎপাদন এর জন্য। তা প্রাকৃতিক পরিবেশ বিশ্লেষণ এর মাধ্যমে জানা যায়। অতএব প্রতিষ্ঠান এর কাঁচামাল ক্রয়ের ক্ষেত্রে পরিবেশের জ্ঞান খুবই প্রয়োজনীয়।

৫. পণ্যের মান (Product quality)

প্রত্যেক দেশে পণ্যের মানের মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে এবং প্রযুক্তিগত পরিবেশ অধ্যয়নের মাধ্যমে পণ্যের গুণগতমান সম্পর্কে জানা যায়।

৬. তথ্য সংগ্ৰহ্ (To collect information)

একটি প্রতিষ্ঠানের বিপণন কার্যক্রমে বিভিন্ন প্রকার তথ্যের প্রয়োজন হয়। যেমন- ক্রেতা, জনগোষ্ঠী, সরবরাহকারী ইত্যাদি সম্বন্ধে। বাজারজাতকরণ পরিবেশ বিশ্লেষণ করলে এ সকল তথ্য সংগ্রহ করা সহজ হয়।

৭. ভোক্তা সন্তুষ্টি (Consumer satisfaction)

ভোক্তারা প্রতিনিয়ত নতুন পণ্য চায় এবং ভোক্তার চাহিদামতো পণ্যাদি সরবরাহ করলে তারা প্রতিষ্ঠান এর প্রতি আনুগত্য থাকে। বাজারজাতকরণ পরিবেশের মাধ্যমে তা সম্ভব ।

৮. খাপ-খাওয়ানো (Adaptation)

বাজারজাতকারীকে নিয়মিত নতুন পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর সাথে চলতে হয়। যদি পরিবেশ সম্পর্কে জ্ঞান থাকে তবে তা সম্ভব হয়।

৯. চাহিদা ও যোগান (Demand and supply)

বিশ্বের জনসংখ্যার উপর পণ্যের চাহিদা নির্ভরশীল। কোন দেশে পণ্যের চাহিদা বেশি এবং কোন দেশে কম তা বাজারজাতকরণ পরিবেশ বিশ্লেষণ এর মাধ্যমে জানা যায়।

১০. নিয়ন্ত্রণ করা (To control)

বাজারজাতকরণ কার্যাবলির কোথায়, কখন, কিভাবে, কতটুকু নিয়ন্ত্রণ করতে হবে তা বাজারজাতকরণ পরিবেশ অধ্যয়নের মাধ্যমে জানা যায়।

১১. পরিবর্তন শনাক্তকরণ (To identify changes)

দিন দিন বাজারজাতকরণ কার্যাবলি পরিবর্তন হচ্ছে। একজন বাজারজাতকারী এ পরিবর্তনগুলো বিপণন পরিবেশ অধ্যয়ন এর মাধ্যমে শনাক্ত করতে পারে।

১২. পণ্য বিশেষায়ন (Product specialization)

বিপণন পরিবেশ অধ্যয়নের মাধ্যমে বাজারজাতকারীর পক্ষে অধিক চাহিদা আছে এমন পণ্য উৎপাদনে বিশেষায়িত হওয়ায় সুযোগ সৃষ্টি হয়।

১৩. সমস্যা পূর্বানুমান (Problem forecast)

যে কোন কাজ করতে হলে বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। বাজারজাতকরণ পরিবেশ বিশ্লেষণ এর মাধ্যমে সমস্যা পূর্বানুমান করা যায় এবং তা প্রতিরোধ এর ব্যবস্থা করা যায়।

১৪. দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ (Make quick decision)

অনেক সময় প্রতিষ্ঠান এর কর্তাদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয়। পরিবেশের জ্ঞান থাকলে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে সহজ হয়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ